কক্সবাজারে হত্যা ঘটনার ৩৪ বছর পর রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের বন বিভাগের পাহারাদার মিয়া জানকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মিয়া জানকে হত্যার প্রায় ৩৪ বছর পর গতকাল সোমবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুল ইলাহী এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন টইটং ইউনিয়নের রমিজপাড়ার এনামুল হক। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন এনামুলের বড় ভাই কামাল হোসেন, হাজীবাজারের হাজীবাড়ির মোহাম্মদ ইউনুছ ও তাঁর ভাই মো. নুরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এনামুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তিনজনই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মামলা থেকে ২৬ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৯ জুলাই পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের কামাল হোসেনের কাছ থেকে ১৫টি গাছ জব্দ করে বন বিভাগ। পরে ওই গাছগুলো বন বিভাগের পাহারাদার মিয়া জানের কাছে রাখা হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মিয়া জানকে গুলি করে হত্যা করেন আসামিরা। পরে নিহত মিয়া জানের চাচা গোলাম রহমান বাদী হয়ে তৎকালীন চকরিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি সুলতান উল আলম চৌধুরী বলেন, চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া ২৬ জনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন মারা গেছেন।