উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা তরুণকে কুপিয়ে হত্যা

কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৪) আজ বৃহস্পতিবার ভোরে মো. এরশাদ (২৩) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে হত্যা করা হয়েছে এরশাদকে।

নিহত এরশাদ ওই আশ্রয়শিবিরের ‘এইচ’ ব্লকের বাসিন্দা মো. ইউসুফের ছেলে। হত্যার সত্যতা নিশ্চিত করে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার বলেন, কয়েক রোহিঙ্গা দুর্বৃত্ত আজ ভোররাত চারটার দিকে এরশাদকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।

গত তিন মাসে আশ্রয়শিবিরে একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দলের হামলা ও গুলিতে অন্তত ১০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান রোহিঙ্গা যুবক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বেলা দেড়টা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি এপিবিএন।

পুলিশ জানায়, এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১৮) পাহারা দলের স্বেচ্ছাসেবী সদস্য মো. জাফরকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আশ্রয়শিবিরে একের পর এক হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সাধারণ রোহিঙ্গারা। গত তিন মাসে আশ্রয়শিবিরে একাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দলের হামলা ও গুলিতে অন্তত ১০ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।