লালমনিরহাটে জেএমবির দুই সদস্যের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

লালমনিরহাটে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির দুই সদস্যকে একটি মামলার তিনটি ধারায় ১৪ বছর করে মোট ৪২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  আজ রোববার বিকেলে এ রায় দেন লালমনিরহাট বিশেষ ট্রাইবুনাল-১–এর বিচারক ও লালমনিরহাটের দায়রা জজ মো. মিজানুর রহমান। তবে সাজা একসঙ্গে শুরু হওয়ায় প্রকৃতপক্ষে তাঁদের ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব ও নাহিদ হাসান ওরফে মো. নাহিদ বাবু ইসলাম আজ বিকেলে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের পুলিশি পাহারায় লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। রাকিবুল লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার টংভাঙা গ্রামের বাসিন্দা এবং নাহিদ হাতীবান্ধার পূর্ব সিন্দুর্না গ্রামের বাসিন্দা।

আদালত সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের ডিবি পুলিশের সদস্যরা ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাতীবান্ধার টংভাঙা গ্রামের বাড়ি থেকে রাকিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জেএমবির সদস্যরা গোপন বৈঠক করছিলেন। পরে ডিবি পুলিশের সদস্যরা রাকিবুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাহিদকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের কাছ থেকে জঙ্গি ও জিহাদ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের ২২টি বই উদ্ধার/জব্দ করা হয়। তাঁদের মুঠোফোনের মেমোরি থেকে জঙ্গি ও জিহাদি বিভিন্ন ধরনের বই–পুস্তকসহ, ভিডিও ক্লিপ পাওয়া যায়। মামলায় লালমনিরহাটের আদালতে ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর লালমনিরহাটের সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আকমল হোসেন আহমেদ বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের তিনটি পৃথক ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় রাকিবুল ও নাহিদকে ১৪ বছর করে মোট ৪২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে ঘোষিত রায় অনুযায়ী সাজা একই সঙ্গে কার্যকর হওয়ার আদেশ থাকায় তাঁরা প্রকৃতপক্ষে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করবেন, আর অর্থদণ্ড অনাদায়ে অতিরিক্ত সময় কারাগারে আটক থাকবেন। এ ছাড়া ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল ও নাহিদ এই মামলায় আটক বা গ্রেপ্তার হয়ে যত দিন হাজতবাস করেছেন, তা ঘোষিত কারাদণ্ড থেকে বাদ যাবে।