বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে খুলনার বেশির ভাগ নেতা-কর্মী ঢাকায়

বিএনপি

ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যে খুলনা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগই ঢাকা পৌঁছেছেন। কেউ কেউ পথে আছেন। দুই দিন ধরে ভাগ ভাগ হয়ে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন।

নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় যাওয়ার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। বেশির ভাগ সময় পথে পুলিশের তল্লাশির কবলে পড়তে হয়েছে তাঁদের। এবার সেই হয়রানি এড়াতে আগে থেকেই তাঁরা ছোট ছোট দলে ভাগে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

জেলা ও মহানগর বিএনপির একাধিক নেতা জানান, সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেনে করে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন। নগর ও জেলা বিএনপির প্রায় ১০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেবেন বলে তাঁরা ধারণা করছেন। নেতা-কর্মীরা যাঁরা আগে ঢাকায় পৌঁছেছেন, তাঁরা আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকছেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা জেলা বিএনপি থেকে চার-পাঁচ হাজার মানুষ তাঁরা ঢাকায় এসেছেন। তাঁদের উদ্যোগ তো ছিলই। পাশাপাশি নেতা-কর্মীরা অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে নিজ উদ্যোগেই নানা উপায়ে ঢাকায় এসেছেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম (মনা) বলেন, এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপির আন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে নগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ডের মসজিদেও লিফলেট বিতরণ করা হয়। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, তাঁতী দলসহ সব সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীও যেন ঢাকায় যান, সেই বার্তাও সংগঠনের সব স্তরে পাঠানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বিভিন্নভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতিমাফিক নেতা-কর্মীরা ঢাকায় চলে এসেছেন; আসছেন।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মহানগর ও জেলা বিএনপির অন্তত ১০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেবেন। এর ৮০ ভাগ গত দুই দিনে ঢাকায় পৌঁছেছেন। কিছু নেতা-কর্মী বৃহস্পতিবার ভোরে রওনা হবেন। তিনি বলেন, খুব ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বাসে, ব্যক্তিগত গাড়িতে ও ট্রেনে করে তাঁরা ঢাকায় যাচ্ছেন। তবে ঢাকায় হোটেলে থাকা নিরাপদ বোধ করছেন না তাঁরা। বেশির ভাগই আত্মীয়স্বজনের বাসায় থাকছেন।

এদিকে বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম (মঞ্জু) ও তাঁর অনুসারীরা ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে খুলনা ছেড়েছেন। কয়েক দিন ধরে ‘খুলনার রাজপথের বিএনপি’ ব্যানারে ঢাকার মহাসমাবেশে অংশ নিতে তাঁরা বেশ কয়েকটি প্রস্তুতি সভা করেছেন। দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে গত প্রায় সাড়ে ৯ মাস রাজনীতির মাঠে সরাসরি সক্রিয় না থাকলেও মঞ্জুর অনুসারীরা বিশাল মিছিল নিয়ে ১৭ জুলাই খুলনার তারুণ্যের সমাবেশে অংশ নেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, এক দফার আন্দোলনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সবার অংশগ্রহণে একটা শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলেই তাঁরা মনে করছেন। তাঁদের কম করে আড়াই হাজার নেতা-কর্মী ঢাকার সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বেশির ভাগই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। বিভিন্ন উপায়ে আলাদা আলাদা দলে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসার কৌশল নিয়েছেন। মহাসমাবেশের আগে সবাই ঢাকায় একত্র হবেন।