শেরপুরে হাসপাতাল থেকে তিন দিনের কন্যাশিশুকে নিয়ে পালালেন এক নারী
শেরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তিন দিন বয়সী এক কন্যাশিশুকে চুরি করে নিয়ে গেছেন এক নারী। চুরি যাওয়া নবজাতক পৌর শহরের চাপাতলী মহল্লার বাসিন্দা ও মাংস ব্যবসায়ী মো. ফিরোজ মিয়া ও আবেদা বেগম দম্পতির সন্তান।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার আবেদা বেগমকে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের জন্য শহরের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই তিনি একটি কন্যাশিশুর জন্ম দেন।
স্বজনেরা জানান, ফিরোজ মিয়ার মা ও কয়েকজন নারী আত্মীয় সারাক্ষণ নবজাতকের পাশে ছিলেন। এ সময় এক অজ্ঞাত নারী নিজেকে অন্য রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে তাঁদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং কয়েক দিন ধরে নানা অজুহাতে ওই কক্ষে যাতায়াত করতেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিশুটির মা বাথরুমে যান। ওই সময় অন্য স্বজনেরা বাইরে ছিলেন। এই সুযোগে ওই নারী নবজাতককে নিয়ে পালিয়ে যান।
ঘটনার পর দেখা যায়, হাসপাতালের কক্ষের সামনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট। হাসপাতালের বাইরের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা পরা এক নারী নবজাতককে নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, নবজাতক চুরির ঘটনায় হাসপাতালের লোকজনের যোগসাজশ রয়েছে।
সন্তান হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফিরোজ মিয়া ও আবেদা বেগম। ফিরোজ মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়েকে না পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’ এ বিষয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে আমাদের কেউ কিছু বলেননি। তবে আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোবায়দুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, নবজাতক উদ্ধারে পুলিশি অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করতে বলা হয়েছে।