উখিয়ায় গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত যুবকের নাম আনোয়ারুল ইসলাম (৩৫)। তিনি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতের বিল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে। তিন সন্তানের জনক।

পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিপুল অস্ত্র নিয়ে একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালায়। ওই দিন পালংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের সঙ্গে অস্ত্রধারী ২৩ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীও অনুপ্রবেশ করছিলেন। তখন স্থানীয় বাসিন্দারা অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে তাঁরা গুলি ছোড়েন। এতে পাঁচজন বাংলাদেশি আহত হন। এর মধ্যে আনোয়ারুল ইসলামও গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ারকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এক মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ারুল ইসলামের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান।

উখিয়া থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে উত্তেজনা ও সহিংসতা চলে আসছে। প্রায়ই সেখানে গোলাগুলির পাশাপাশি শক্তিশালী গ্রেনেড বোমা ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। সংঘাতের জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মচারীসহ অন্তত ৩৩০ জন নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার বাহিনীর সঙ্গে অনুপ্রবেশের সময় পালংখালীর রহমতের বিল সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ ২৩ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। ২৩ রোহিঙ্গা এখন কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দী আছেন।