৪৫ বছর বয়সে জিপিএ–৫ পেলেন ইউপি সদস্য আবদুল মমিন

আবদুল মমিন
ছবি: সংগৃহীত

পরপর তিনবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার আবদুল মমিন। বয়স ৪৫ বছর। কিন্তু পড়াশোনার আগ্রহের কাছে তাঁর বয়স বাধা হতে পারেনি। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কারিগরি বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তিনি।

আবদুল মমিন কাজীপুর উপজেলার শুভগাছা ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ধুনকাইল গ্রামের সামসুল হকের ছেলে। তিনি জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের দেউলমুরা এনআর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন।

দেউলমুরা এনআর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আবদুল মমিন আমাদের বিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’

আবদুল মমিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পড়ালেখা থেকে ঝরে পড়েছিলাম। কিন্তু পড়ালেখা শেষ করার ইচ্ছাটা কখনো চলে যায়নি। ইউপি সদস্য হয়ে বাস্তবতা আরও বুঝতে পারি। আসলে জীবনের সব ক্ষেত্রে পড়ালেখার প্রয়োজন আছে। যে কারণ এই বয়সেও লেখাপড়া করছি। এ ফলে আমি অনন্দিত। এখন উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হব। ভবিষ্যতে স্নাতক সম্পন্ন করার ইচ্ছা আছে।’

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরবালি গুড়ি গ্রামে এক বাড়িতে লজিং থেকে চরবালি গুড়ি দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন আবদুল মমিন। এরপর ঢাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ২০১১ সালে গ্রামে এসে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন।

শুভগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবদুল মমিন এই বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছেন যে লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। এ ক্ষেত্রে ইচ্ছাশক্তিই আসল। জিপিএ-৫ পাওয়ায় আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই।’

আবদুল মমিন জনপ্রতিনিধি হিসেবেও সফল বলে মনে করেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার। তিনি বলেন, মমিন সংগ্রাম করে পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন এবং সফল হয়েছেন। এমনটি আজকাল খুব একটা দেখা যায় না।

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরবালি গুড়ি গ্রামে এক বাড়িতে লজিং থেকে চরবালি গুড়ি দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন আবদুল মমিন। এরপর ঢাকায় গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ২০১১ সালে গ্রামে এসে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেন।

শুভগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবদুল মমিন এই বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রমাণ করেছেন যে লেখাপড়ার কোনো বয়স নেই। এ ক্ষেত্রে ইচ্ছাশক্তিই আসল। জিপিএ-৫ পাওয়ায় আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই।’

আবদুল মমিন জনপ্রতিনিধি হিসেবেও সফল বলে মনে করেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার। তিনি বলেন, মমিন সংগ্রাম করে পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন এবং সফল হয়েছেন। এমনটি আজকাল খুব একটা দেখা যায় না।