রাজশাহী বিআরটিএ কার্যালয়ের নথিপত্র জব্দ করল দুদক

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রাজশাহী সার্কেল কার্যালয়ের নথি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এই কার্যালয়ে অভিযান চালান দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন। অভিযান পরিচালনার সময় দুদক কর্মকর্তারা বিআরটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানান, বিআরটিএ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়, এমন অভিযোগ পেয়ে তাঁরা অভিযান চালান।

দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, দুদক কমিশনে অভিযোগ গেছে যে এখানে ঘুষ না দিলে ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক এই অভিযান চালানো হলো। বেশ কিছু ড্রাইভিং লাইসেন্সের আবেদনের নথিপত্রও জব্দ করা হয়েছে। এই লাইসেন্সপ্রত্যাশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চাওয়া হবে তাঁরা ঘুষ দিয়েছেন কি না। সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। তা ছাড়া প্রথম দিনের অভিযানেই যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা দিয়ে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, অভিযোগ উঠতেই পারে। এর সত্যতা খুঁজে দেখবে দুদক। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে বিআরটিএর রাজশাহী সার্কেলের সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন জানান, দুদকের অভিযানের সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। দুদক কোন অভিযোগে এসেছিলেন, কী নথি নিয়েছেন, তা অফিসে যাওয়ার পর বলতে পারবেন।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়া প্রসঙ্গে মোশারফ বলেন, ‘ঘুষ না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়, এটা সত্য নয়। কারণ, পরীক্ষা নেওয়ার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি থাকেন। আমরা সহযোগিতা করি। যেটা হয় তা হলো, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কেউ ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য বের হলেই তাঁকে মধ্যস্বত্বভোগী কেউ ধরে ফেলে। তাঁরা আমাদের নাম ভাঙায়। আর আমাদের অফিসেও কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি থাকতে পারে। আমরা বুঝতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই।’