খেলার মাঠ ছাড়তে চায়নি স্কুলছাত্ররা, দুজনকে পিটিয়ে জখম করল বখাটেরা

প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে পঞ্চম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার বিকেলে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মেহের ১৭৩ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই শিক্ষার্থীকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলো ওই এলাকার নুরুজ্জামান শেখের ছেলে মঈন শেখ ও খবির ব্যাপারীর ছেলে ইসমাইল ব্যাপারী। দুজনেই ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের বরাতে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল খেলতে যায় ইসমাইল ও মঈন। খেলার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের মাঠ ছাড়তে বলে। শিক্ষার্থীরা রাজি না হলে ওই এলাকার বায়জিদ ঢালী ও তামিম ঢালী ইসমাইলকে লাঠিসোঁটা ও হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে। বন্ধু ইসমাইলকে বাঁচাতে গেলে মঈনকেও পেটানো হয়। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আহত ইসমাইল ব্যাপারী জানায়, ওই যুবকেরা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া-আসার সময় গালিগালাজ করেন। মাঠে খেলতেও দেন না। প্রতিবাদ করায় তাদের হাঁতুড়ি দিয়ে মেরেছে। মঈনের বাবা নুরুজ্জামান শেখ বলেন, ‘স্কুলমাঠে ঢুকে বখাটেরা এভাবে আমাদের সন্তানদের পেটাবে, এটা অকল্পনীয়। একটি সুষ্ঠু সমাজে এমনটা হতে পারে না। এর কঠিন বিচার হওয়া উচিত।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমা তামান্না বলেন, ‘কিছু যুবক প্রায়ই বিদ্যালয় মাঠে আড্ডা দেয়। তাঁদের অনেকবার নিষেধ করা হলেও শোনেনি। মাঠে খেলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

অভিযোগ অস্বীকার করে বায়জিদ ঢালী ও তামিম ঢালী বলেন, ‘আমরা ছোটদের মারিনি। ওরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।’

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।