সেন্ট মার্টিনের উপকূলে ডুবোচরে জাহাজ বিকল, চার ঘণ্টা পর উদ্ধার ৫৪ পর্যটক
টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি গ্রিন লাইন-১ মাঝসাগরে ৫৪ জন পর্যটকসহ আটকা পড়ে। এ সময় চার ঘণ্টা ধরে জাহাজটি ভাসছিল সাগরে। পরে কোস্টগার্ডের সদস্যরা পর্যটকদের উদ্ধার করেন।
আজ রোববার সকালে টেকনাফ থেকে রওনা দেওয়া জাহাজটি একটি ডুবোচরে আটকে পড়লে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে যাত্রীদের নিরাপদে টেকনাফে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আজ রোববার বেলা তিনটার পর কোস্টগার্ডের সদস্যরা পর্যটকদের উদ্ধার করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে মাঝসাগরে জাহাজটি বিকল হয়ে পড়ে।
জাহাজটি আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে ৫৪ জন যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে নাইক্ষ্যংদিয়ার নামক এলাকায় জাহাজটি আটকে পড়েছে। এরপর বেলা তিনটা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা ভাসমান ছিল জাহাজটি। ৫৪ জন যাত্রীর সবাই বর্তমানে নিরাপদ আছেন। তবে জাহাজটি একই এলাকার অবস্থান করছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই জাহাজের এক যাত্রী বলেন, ওই জাহাজে তিনিসহ তাঁর পরিবারের আটজন সদস্য ছিলেন। জাহাজের চালকের অদক্ষতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পর্যটকদের। জাহাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
ওই যাত্রী আরও বলেন, জাহাজ আটকে পড়ার ঘটনাটি ঘটে মিয়ানমারের জলসীমানার কাছাকাছি। তাই পর্যটকদের মধ্যে একটু আতঙ্ক ছিল। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সাগরে ভাসমান থাকায় অনেক যাত্রী কান্নাকাটি শুরু করেন।
যাত্রীরা জানান, জাহাজ থেকে কোস্টগার্ডের সঙ্গে যোগাযোগের পর তাঁরা এসে স্পিডবোটে করে একে একে পর্যটকদের উদ্ধার করে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে নিয়ে যান। ডুবোচর থাকার বিষয়টি জাহাজের নাবিকদের জানা থাকার কথা। কিন্তু নাবিকেরা অদক্ষ হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে যাত্রীরা মনে করেন।