ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাইয়ের মৃত্যু

আজ বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের নাজির রোড-সংলগ্ন আনোয়ার উল্যা সড়কে নির্মাণাধীন চারতলা ভবনের নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে তিন ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিরা সবাই পেশায় শ্রমিক। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী শহরের নাজির রোড-সংলগ্ন আনোয়ার উল্যা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকানন এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দ আলম মুন্সির তিন ছেলে আবদুর রহমান মুন্সি, নুরুল ইসলাম মুন্সি ও মনিরুজ্জামান মুন্সি। ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, আনোয়ার উল্যাহ সড়কের রুহুল আমিন মিয়ার চারতলা একটি ভবন দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন অবস্থায় পড়ে আছে। ওই ভবনের নিচতলায় সেপটিক ট্যাংকের পাশে আবদুর রহমান, নুরুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান থাকতেন। আজ বেলা ১১টার দিকে তিন ভাই সেপটিক ট্যাংকটি পরিষ্কার করার জন্য ঢাকনা খোলেন। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দ হলে তাঁদের মধ্যে একজন সেপটিক ট্যাংকের ভেতর পড়ে যান। বিকট শব্দে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, দুই শ্রমিক সেপটিক ট্যাংকের পাশে ও একজন ট্যাংকের ভেতর পড়ে আছেন।

খবর পেয়ে ফেনী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন শ্রমিককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পরই সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক পূর্ণচন্দ্র মৃৎসুদ্দি বলেন, দীর্ঘ সময় ঢাকনা বন্ধ থাকলে সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে একধরনের বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই বিষাক্ত গ্যাসের বিস্ফোরণে আর অক্সিজেন–সংকটের কারণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানায়, নিহত তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।