চরভদ্রাসনে উপজেলা চেয়ারম্যানের নামে মামলার জেরে দুই পক্ষের মারামারি, আহত ৭

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাদল আমিনের নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার চর ঝাউকান্দা ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাতজনকে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাদল আমিনের পক্ষের জয়গুন বিবি (৪৩), লাকী বেগম (৩০), আয়নাল শেখ (৫১) ও লতিফ মোল্লা (৬৭) এবং অপর পক্ষের বৃষ্টি বেগম (২৩), নুরজাহান বেগম ও জহুরা বেগম (৬২)।

তাঁদের মধ্যে বৃষ্টি বেগম গত ২৭ মে বাদল আমিনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে চরভদ্রাসন থানায় মামলা করেন। তিনি কল্যাণপুর গ্রামের রকিব মীরের স্ত্রী।

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এ মারামারির ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। স্থানীয় লোকজন নিজেরা মারামারি করেছে। এখানে তাঁকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে জড়ানো হচ্ছে।

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন হাবিবা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাতজন ভর্তি হয়েছেন। তাঁদের তিনজনের মাথায় ও বাকি চারজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

চরভদ্রাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোর্শেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা দুইটার দিকে কল্যাণপুর গ্রামের একটি মুদিদোকানের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন বৃষ্টি বেগম। ওই সময় বাদল আমিনের পক্ষের জয়গুন বিবি তাঁকে গালাগাল করেন।

এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে জয়গুন বিবি, জহুরা বেগম ও আয়নাল শেখের মাথা ফেটে যায় এবং পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা লাকী বেগম পেটে আঘাত পান। আহত সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃষ্টি বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাদল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করার পর থেকে তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন। আজ (শুক্রবার) তাঁর পক্ষের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে।’