শিবগঞ্জে বাসচাপায় সেনাসদস্যসহ নিহত ২, চালক আটক
বগুড়ার শিবগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সেনাবাহিনীর এক সৈনিকসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই বাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন শাকিল আহম্মেদ (২২) ও সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে সোনিয়া (২০)। শাকিল সৈনিক পদে কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের কমলিহার গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। ছুটিতে কয়েকদিন আগে তিনি বাড়িতে আসেন। সাবিনা ইয়াসমিন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা শাখৈল গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। নিহত দুজনই একই মোটরসাইকেলে ছিলেন, তবে তাঁদের সম্পর্ক জানা যায়নি। আটক বাসচালকের নাম আল আমিন। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের মশিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরের দিকে শাকিল আহমেদ মোটরসাইকেল চালিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দিক থেকে বগুড়ার মোকামতলা বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলের পেছনে ছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন। আড়াইটার দিকে মোটরসাইকেলটি মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার রহবল বাজারে পৌঁছালে পাবনাগামী নবীনবরণ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে শাকিল ও সাবিনা ইয়াসমিন মারা যান।
দুর্ঘটনার পর নবীনবরণ পরিবহনের চালক আল আমিন বাস নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তবে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়ার মাটিডালী এলাকা থেকে চালকসহ বাসটি আটক করে।
জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেলচালক শাকিল আহমেদ সেনাবাহিনীর সৈনিক। তিনি ছুটি কাটাতে কিছুদিন আগে বাড়িতে আসেন। মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা ওই তরুণীর সঙ্গে শাকিলের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। লাশ হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে।