জুলাই থেকে মজুরি পাচ্ছেন না দৈনিক হাজিরাভিত্তিক ৪১০ কর্মচারী

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
ফাইল ছবি

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দৈনিক হাজিরাভিত্তিক ৪১০ জন কর্মচারী জুলাই মাস থেকে মজুরি পাচ্ছেন না। এসব কর্মচারীর জনপ্রতি দৈনিক মজুরি ৩৫০ টাকা করে।

নগর ভবনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গত ১০ বছরে নগর ভবনে অতিরিক্ত জনবল নেওয়া হয়। তাদের একটি অংশ কাজ না করেই মজুরি পাচ্ছিল। বর্তমানে সিটি করপোরেশন দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীদের কাজ মূল্যায়ন করছে। এ কারণে তাদের মজুরি আটকে আছে।

নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিটি করপোরেশনে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে ৭৮০ জন কর্মচারী ছিলেন। এরপর নিয়োগ দেওয়া হয় আরও ১০ জনকে। তাঁদের মধ্যে বাদ দেওয়া হয়েছে ৪৮ জনকে। এখন কর্মরত আছেন ৭৪২ জন। তাঁদের মধ্যে জুলাই ও আগস্ট মাসের মজুরি পেয়েছেন ৩৩২ জন।

বাকি ৪১০ জন জুলাই ও আগস্ট মাসে এবং এ মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত মজুরি পাননি। তাঁদের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ডে ২০৭ জন, প্রকৌশল শাখায় ১০৩ জন, রাজস্ব বিভাগে ৪৭ জন, সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ কার্যালয়ে ২০ জন, স্বাস্থ্য শাখায় ১১ জন, কনজারভেন্সি শাখায় ১০ জন, প্রশাসন শাখায় ৭ জন ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ জন।

বেতন না পাওয়া কর্মচারীদের কয়েকজন প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে লোকবল নিয়োগ নেই। অনেকে বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার আমল থেকে দৈনিক হাজিরাভিত্তিক মজুরিতে কাজ করছেন। এসব কর্মচারী কর আদায়, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অফিসে সচিব, কর্মচারী, ঝাড়ুদার ও নৈশপ্রহরীর কাজ করছেন।

জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নগর ভবনে নতুন মেয়র-কাউন্সিলররা দায়িত্ব নেওয়ার পর দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়ন ও তাঁদের যাচাই-বাছাই করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর আমরা শাখাভিত্তিক কর্মচারীদের তালিকা যাচাই শুরু করি। একপর্যায়ে ৪৮ জনকে বাদ দেওয়া হয়। অপর কর্মচারীদের মজুরি পর্যায়ক্রমে দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৩৩২ জন পেয়েছেন। বাকিরা পাবেন।’

দীর্ঘদিন নিয়োগ না থাকার কারণে দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মী দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে সফিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের নতুন অর্গানোগ্রাম পাস হয়েছে। সামনে স্থায়ী জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। এর বাইরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমেও লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে।