প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগ

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলজিইডি পরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ না করায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা। গতকাল দুপুরে উপজেলার তারাগঞ্জ মধ্যবাজার চালহাটিতে
ছবি: প্রথম আলো

শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রধান সড়কে তারাগঞ্জ মধ্য এলাকায় এক সপ্তাহ ধরে জলাবদ্ধতা থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলজিইডি পরিকল্পিতভাবে সড়ক নির্মাণ না করায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের।

উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পৌর শহরের তারাগঞ্জ মধ্য বাজার এলাকায় এলজিইডির উদ্যোগে প্রধান সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে শহরের দক্ষিণ বাজার থেকে মধ্যবাজার পর্যন্ত দুই ধাপে মোট ৬৬২ মিটার আরসিসি সড়ক নির্মাণে কাজ করা হয়। ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মেসার্স ইউনিক জেবি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি কাজটি সম্পন্ন করেছে। আগের তুলনায় আরসিসি সড়ক দেড় থেকে দুই ফুট উচ্চতায় রয়েছে। বাকি সড়ক নিচু থাকায় এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির পানিতে মধ্যবাজার চালহাটি এলাকায় ৩০ মিটার সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে হেঁটে পথচারীরা চলাচল করতে পারছেন না। দুই পাশে সারিবদ্ধ দোকান থাকায় পানি বের হতে পারছে না। ফলে খানাখন্দ ও ৩০ মিটার এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধতা থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারীরা।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ‘যদি দক্ষিণ বাজার থেকে উত্তর বাজার পর্যন্ত একযোগে সড়ক পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হতো, তাহলে মানুষকে এই দুর্ভোগে পড়তে হতো না। এখানে দুই ফুট পানি থাকায় প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানাচ্ছি।’

শামসুন্নাহার বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, জলাবদ্ধতার জন্য তো এইটুকু সড়ক পারাপার হতে রিকশা লাগে। হেঁটে যাওয়ার তো কোনো বিকল্প নেই। দ্রুত পানিনিষ্কাশন করা হলে মানুষের কষ্ট কমবে।

শহরের স্থানীয় বাসিন্দা বিপ্লব দে বলেন, শহরের মধ্যে সড়কটি এলজিইডির। এটা শহরের প্রধান সড়ক। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে জলাবদ্ধতা থাকায় মানুষ নিদারুণ কষ্ট করছেন। এলজিইডি যদি পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে সড়কটি নির্মাণে উদ্যোগ নিত, তাহলে অহেতুক মানুষকে কষ্ট করতে হতো না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল খান প্রথম আলোকে বলেন, দুই ধাপের কাজ মধ্য বাজারে এসে শেষ হয়েছে। উত্তর বাজার শহীদ মিনার মোড় পর্যন্ত আরও প্রায় ৩০০ মিটার সড়ক নির্মাণে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া যেতে পারে। তখন বাকি সড়কের কাজ করা হবে। জলাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি পৌরসভার সঙ্গে পানিনিষ্কাশনের ব্যাপারে কথা হয়েছে বলে জানান।

এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল আলম তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, পানিনিষ্কাশনের জন্য বিকল্প হিসেবে পাইপ লাগিয়ে পানি সরানো হবে। দু–এক দিনের মধ্যে পানি সরে গেলে সেখানে খানাখন্দকে ইটসুরকি ফেলে পথচারীদের চলাচলে উপযোগী করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে।