ডাকাত সন্দেহে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবি তিন দিন আগে আটক

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার যুবদলের নেতা জানে আলম (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) ও দুই ব্যক্তি। আজ বুধবার বিকেলে রাউজান থানায়
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে ডাকাত সন্দেহে জেলা যুবদলের এক নেতাসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। বুধবার ভোরে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অস্ত্রশস্ত্রসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে জেলা যুবদলের ওই নেতাকে তিন দিন আগে আটক করে ডাকাতির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার।

গ্রেপ্তার তিনজন হলেন উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের গুহরক্ষিত পাড়ার আবদুস সামাদের ছেলে জানে আলম, একই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গরীব উল্লাহ পাড়ার সমিউল্লাহ চৌধুরীর ছেলে আবদুল্লাহ খোকন (৩৮) ও হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউনিয়নের মো. বাবুলের ছেলে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (২৮)। এর মধ্যে জানে আলম চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যোগাযোগবিষয়ক সম্পাদক। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি ২০১১ সালে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।

অভিযানে সম্পৃক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ ভোরে উপজেলার পূর্ব গুজরা ইউনিয়নের বড় ঠাকুরপাড়ায় দুই সহযোগীসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন জানে আলম। এ সময় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে একটি এলজি, দুইটি কার্তুজ, দুটি রামদা, একটি লোহার তৈরি কাটার ও একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে।

যুবদলের নেতা জানে আলমের স্ত্রী রুনা আকতার প্রথম আলোকে বলেন, গত সোমবার সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে চট্টগ্রাম নগরের বাসায় ফিরছিলেন তাঁর স্বামী। এ সময় তাঁকে নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তল্লাশিচৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। গত কয়েক দিন স্বামীর খোঁজ জানতে পুলিশের সঙ্গে পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে জানে আলমকে আটকের বিষয়টি থানা ও ফাঁড়িতে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা স্বীকার করেননি। বুধবার সন্ধ্যায় জানে আলমকে আদালতে পাঠানোর খবর জানতে পারেন তাঁরা।

জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাতির প্রস্তুতির সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তিনজন কোথায় ছিলেন, পুলিশ জানে না।

ওসি বলেন, তাঁরা আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।