ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কার

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ শিক্ষার্থীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান আট শিক্ষার্থীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের অফিস আদেশ সই করেন।

আরও পড়ুন

হল থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০১৯-২০ সেশনের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোবাশ্বির বাঙ্গালী, একই হলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সাদমান হাফিজ, একই বিভাগ ও বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী শান্ত তারা (আদনান), ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মহসিন নাইম, ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তৈমুর সালেহিন (তাউস), পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ও সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী হৃদয় মিয়া।

আট শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক সহসভাপতি মামুন শাহর সমর্থক এবং শান্ত তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক। এ ছাড়া বাকি দুজন রিফাত চৌধুরী ও মহসিন নাইম কার সঙ্গে রাজনীতি করেন, সেটি জানা যায়নি।
সোমবার ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের অফিস আদেশে বলা হয়, গত শুক্রবার বিকেলে সংগঠিত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে  জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের নিজ নিজ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ থাকাকালে অন্য কোনো হলেও তাঁরা প্রবেশ করতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হলের প্রভোস্টদের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আট শিক্ষার্থীকে হল থেকে বহিষ্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সোমবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আজিজুর বাতেনকে। তদন্ত কমিটিকে দ্রুতই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্প্রতি ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ব্যাচের নামকরণ নিয়ে আলোচনা হলে এ নিয়ে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষই ক্যাম্পাসে অস্ত্রের মহড়া দেয়।