চামড়াশিল্প নগরে ত্রুটিপূর্ণ সিইটিপি নির্মাণে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে: শিল্প উপদেষ্টা
সাভারের চামড়াশিল্প নগরে ত্রুটিপূর্ণ কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণে দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি জানান, এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যক্রম চালু আছে।
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকার সাভারের হরিণধরায় এলাকায় বিসিক চামড়াশিল্প নগর পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান শিল্প উপদেষ্টা। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সভাকক্ষে একটি সভা করেন। এতে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ), বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএলএলএফইউএ), বিসিক, সাভার উপজেলা প্রশাসন, ঢাকা ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট ওয়েস্টেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট কোম্পানি লিমিটেড, ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ট্যানারির মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আদিলুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা ছিল ভালোভাবে চামড়া সংগ্রহ করা। সেই সঙ্গে চামড়া বিক্রেতারা যেন সরকার নির্ধারিত মূল্য পান, তা নিশ্চিত করা। তবে কিছু জায়গায় চামড়ায় লবণ দিতে দেরি হওয়ায় এবং সঠিকভাবে লবণ দিতে না পারায় চামড়া নষ্ট হয়েছে।’
বিসিক চামড়াশিল্প নগরে আজ দুপুর পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৮ হাজার চামড়া প্রবেশ করেছে জানিয়ে শিল্প উপদেষ্টা জানান, এর বাইরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আছে আরও সাড়ে ৭ লাখ চামড়া।
চামড়াশিল্প নগরের কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের (সিইটিপি) ত্রুটি নিয়ে শিল্প সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, সিইটিপির ডিজাইনটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল। যাঁরা এটি করেছে, তাঁরা ত্রুটিপূর্ণভাবে করেছেন। কোরবানির ঈদের সময় বেশি পরিমাণে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হয়, তাই এটি চালু রাখা হয়েছে। এখন নতুন করে প্ল্যান্ট তৈরি করার সময় হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ ব্যাপারে একটি গবেষণা করছে। সংস্থাটি বিনা মূল্যেই এটি করে দিচ্ছে। প্রতিনিধিরা সিইটিপির গলদ খুঁজে বের করছেন। তাঁদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এবার সব মিলিয়ে ৮০-৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিটিএর চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ট্যানারির মালিকেরা ইতিমধ্যে গতকাল পর্যন্ত ৪ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছি। ঢাকার ভেতরে এবার ৮-১০ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানি কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার ১০ শতাংশ চামড়া সরবরাহ কম হবে।’