চট্টগ্রামে নামী রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে বাসি খাবার

চট্টগ্রাম নগরের খুলশী এলাকায় বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। আজ রোববার বিকেলেছবি: সংগৃহীত

মেয়াদ পেরিয়ে গেলেও রেস্তোরাঁর ফ্রিজে দীর্ঘদিন ধরে রান্নার জন্য ম্যারিনেট (মেখে রাখা) করে রাখা ছিল মাংস। রান্নাঘরে রয়েছে কয়েক দিন আগের বাসি খাবার। এ ছাড়া রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল খাবার। চট্টগ্রাম নগরের নামী এক রেস্তোরাঁয় গিয়ে এমন চিত্র দেখতে পান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

আজ রোববার বিকেলে নগরের ফয়’স লেক এলাকায় ‘লা মেনসা’ রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে এমন চিত্র দেখে অবাক হন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। তিনি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বাসি খাবার রাখার বিষয় স্বীকার করে। পরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বাসি খাবার রাখার অপরাধে রেস্তোরাঁর মালিককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, কোনো খাবার ম্যারিনেট করে কত দিন রাখা যাবে, তার নির্দেশনা রয়েছে বিএসটিআই থেকে। কোনোটি তিন দিন, কোনোটি পাঁচ দিন। তবে রেস্তোরাঁটিতে খাবারগুলো ম্যারিনেট করে রাখা ছিল পাঁচ থেকে সাত দিনের বেশি। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বীকার করেছে।

একই অভিযানে নগরের আরও তিন রেস্তোরাঁকে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে দুই রেস্তোরাঁয় ছিল না লাইসেন্স। আরেকটি রেস্তোরাঁয় অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছিল কেক ও দই। জানা গেছে, দ্য গোল্ডেন স্পুন রেস্তোরাঁয় অবৈধভাবে কেক ও দই উৎপাদন করা হচ্ছিল। এ অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে রেস্তোরাঁটিকে।

এ ছাড়া লাইসেন্স না থাকায় দ্য পিৎজা কো রেস্তোরাঁকে ৩০ হাজার টাকা, ক্রিমসন কাপ রেস্তোরাঁকে ৫০ হাজার টাকাসহ ৪ রেস্তোরাঁকে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় খুলশী থানার পুলিশ সদস্য ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।