রাঙ্গাবালীতে ৬টি বকের ছানা উদ্ধারের পর রেখে আসা হলো মায়ের কাছে
স্থানীয় শিশু-কিশোরেরা পাখির বাসা থেকে ছয়টি বকপাখির ছানা নামিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে তাদের কাছ থেকে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করেন ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’ নামের স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠনের সদস্যরা।
শুক্রবার দুপুরে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমোন্তাজ বাজার থেকে বকের ছানাগুলো উদ্ধার করা হয়।
পরে এগুলোকে বন বিভাগের কর্মীদের সহযোগিতায় আবার গাছে থাকা এদের বাসায় রেখে আসেন সংগঠনের সদস্যরা।
অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনের কর্মীদের প্রশংসা করে বন বিভাগের চরমোন্তাজ রেঞ্জের কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে বকের ছানাগুলোকে অবমুক্ত করতে সহযোগিতা করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকার কয়েক শিশু-কিশোর কয়েকটি গাছে থাকা বাসা থেকে বকপাখির ছানাগুলো নামিয়ে আনে। আজ বেলা আড়াইটার দিকে বাজার দিয়ে ছানাগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্যরা সেগুলোকে উদ্ধার করেন। এ সময় তাঁরা বন বিভাগের খবর দিলে তাদের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন।
ছানাগুলো অনেক ছোট। এ জন্য এগুলোকে যেসব গাছে থাকা বাসা থেকে নামানো হয়েছিল, কিশোরদের নিয়ে আবার এদের সেসব বাসায় মায়ের আশ্রয়ে রেখে আসেন অ্যানিমেল লাভার্স ও বন বিভাগের চরমোন্তাজ রেঞ্জের কর্মীরা।
অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর চরমোন্তাজ টিমের টিম লিডার মো. এনসান ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মাংস খাওয়ার জন্য বকের ছানাগুলোকে বাসা থেকে নামিয়ে আনা হয়েছিল। ছানাগুলো অনেক ছোট হওয়ায় আবার বাসায় রেখে আসা হয়। এরপর স্থানীয় ব্যক্তিদের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ ও পরিবেশ রক্ষায় পাখির গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয় এবং এ–সংক্রান্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়। যারা বকপাখির ছানাগুলো ধরেছিল, তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।
পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জানিয়ে মো. এনসান ইসলাম বলেন, ‘আগে আমাদের আশপাশে বহু প্রজাতির পাখি দেখা গেলেও এখন তেমন একটা দেখা যায় না। কারণ, মানুষ পাখি শিকার করে মাংস খায়। আমাদের সবার উচিত পাখিসহ সব ধরনের বন্য প্রাণী রক্ষা করা।’