গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে পিটুনিতে একজন নিহত
গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে এলাকাবাসীর পিটুনিতে হায়দার ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সদর উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হায়দার ইসলাম রাঙামাটির লংগদু উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের সোলাইমান ব্যাপারীর ছেলে। একই সময় পিটুনির শিকার হয়ে আলামিন (২৫) নামের এক তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি ফেনীর মহিরহাট গ্রামের মহন দালালের ছেলে। তাঁকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সদর উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দেন। একপর্যায়ে দুজনকে ডাকাত সন্দেহে আটক করে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হায়দার ইসলাম ও আলামিন নামের দুজনকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক হায়দার ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আলামিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নয়াপাড়া এলাকায় সম্প্রতি একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটনায় এলাকাবাসী পালাক্রমে বিভিন্ন পয়েন্টে পাহারা দিচ্ছিলেন। এ সময় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে একজনকে আটক করা হয়। তখন তাঁর সঙ্গে থাকা আরও পাঁচ থেকে সাতজন পালিয়ে যান। পরে আরেকজনকে আটক করে পিটুনি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, নয়াপাড়া এলাকায় ডাকাতি করতে গেলে এলাকাবাসী দুজনকে আটক করে পিটুনি দেন। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে দেশি অস্ত্র জব্দ করা হয়। নিহত হায়দারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।