শৈলকুপায় মুঠোফোন নিয়ে বিরোধ, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত

সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মুঠোফোন নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার চর গোলকনগর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন চর গোলকনগর গ্রামের কোরবান আলী (৫৯), উম্বাত আলী (৫৫), মামুন হোসেন (১৬), ইউনুস আলী (৩৫), শিপন হোসেন (৩০), আবদুল গফুর মোল্লা (৪৫), আবদুল মজিদ (৫০), আবদুর রহিম মোল্লা (৫৫), নজির উদ্দিন মোল্লা (৫২) ও রাশেদ আলী (২৭)।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় ওই গ্রামের ইউনুস মণ্ডলের চায়ের দোকানে ইউসুফ আলী মোল্লা তাঁর মুঠোফোনটি রেখে বাড়ি চলে যান। পরে ওই দিন রাতেই ইউসুফ মুঠোফোন নিতে এলে ইউনুস সেটি নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে ইউনুস মণ্ডল ও ইউসুফ আলীর মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়।

গ্রামের তিন বাসিন্দা বলেন, এ ঘটনা নিয়ে গতকাল দুপুরে ইউনুস ও ইউসুফের পক্ষের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার জেরে আজ সকাল নয়টার দিকে আবারও দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

শৈলকুপা থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আবারও সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত আভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।