সিলেটে প্রতিবন্ধী তরুণীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩ গাড়িচালক

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

সিলেটের কানাইঘাটে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক তরুণীকে (১৯) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন গাড়িচালক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মাইক্রোবাসের চালক কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের উমাগড় গ্রামের শুভঙ্কর দাস (২৭), বীরদল কচুপাড়া গ্রামের বাবুল আহমদ (২৮) ও চটিগ্রাম গ্রামের ফাহাদ মিয়া (২৫)। বাবুল আহমদ ও ফাহাদ আহমদও পিকআপ চালান।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু ওই রাতে হঠাৎ মায়ের ঘুম ভাঙলে মেয়েকে পাশে দেখতে পাননি। ঘরের দরজাও খোলা দেখতে পান। ওই রাতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাননি মা। পরদিন বুধবার সকালে বালুচর এলাকায় তরুণীর সন্ধান পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান।

ভুক্তভোগী তরুণীর পরিবারের ভাষ্য, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই তরুণী মাঝেমধ্যে কাউকে কিছু না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন। পরে আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে নিয়ে আসতেন। গত বুধবার সকালে ওই তরুণীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে বোঝা যাচ্ছিল। এরপর বৃহস্পতিবার তরুণীকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ তরুণীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।

প্রাথমিক তথ্যের বরাতে পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার যুবকেরা ওই তরুণীকে পেয়ে গাড়িতে করে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে তাঁকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন, তরুণীর মা শুক্রবার সকালে এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।