মায়ের ইচ্ছাপূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন কাউসার

হেলিকপ্টার থেকে নেমে কনের বাড়িতে যাচ্ছেন বর। বুধবার দুপুরে সরাইল উপজেলার অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে
ছবি: সংগৃহীত

প্রয়াত মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে গেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৌদি আরবপ্রবাসী কাউসার আহমেদ। বুধবার বেলা দুইটায় সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে মাত্র দুই মিনিটে কনের বাড়ি অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে গিয়ে পৌঁছায় হেলিকপ্টার।

হেলিকপ্টার থেকে নেমে মোটরসাইকেলে করে কনের বাড়িতে যান বর। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। তাঁর বিয়ের এমন আয়োজন দেখে অবাক গ্রামবাসী।

বর কাউসার আহমেদ সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের বাচ্ছু মিয়ার ছেলে। কনের নাম সুমাইয়া আক্তার (১৯)। তিনি উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের বাদে অরুয়াইল গ্রামের সফি উল্লাহর মেয়ে।

স্থানীয় মানুষেরা জানান, এই অঞ্চলে এ ধরনের বিয়ে এটাই প্রথম। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার। এর আগে কোনো দিন এ রকম রাজকীয় বিয়ে হয়নি।

কাউসারের বাবা বাচ্চু মিয়া বলেন, তাঁর স্ত্রী পারভিন বেগমের শখ ছিল ছোট ছেলে কাউসার আহমেদ হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করবেন। পারভিন বেগম করোনার সময়ে মারা গেছেন। তাঁর ইচ্ছা পূরণ করতেই এ আয়োজন করেছেন। এই বিয়েতে বরযাত্রী গিয়েছেন ২৫০ জন। তাঁরা নৌকায় ও মোটরসাইকেলে করে কনের বাড়িতে পৌঁছান। হেলিকপ্টার যাত্রার জন্য তাঁদের দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে।

বর কাউসার আহমেদ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে ব্যবসার করছি। মায়ের শখ ছিল হেলিকপ্টারে বিয়ে করতে যাব। মা নেই, কিন্তু মায়ের শখ পূরণ করতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’