পাবনায় আ.লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা

সায়দার রহমান মালিথা
ছবি: সংগৃহীত

পাবনা সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা সায়দার রহমান মালিথাকে (৫০) প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মালিথাকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। রোববার বিকেলে নিহতের ভাই আফজাল মালিথা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার হিমাইতপুর ইউনিয়নের চর বাঙ্গাবাড়ী গ্রামে সায়দার রহমান মালিথাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সায়দারের বাড়ি ওই ইউনিয়নের কাবলীপাড়া গ্রামে। তিনি পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ছিলেন।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন মালিথা হিমাইতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। অন্য আসামির মধ্যে আলাউদ্দিন মালিথার ভাই রঞ্জু মালিথা, দুলাল মালিথা ও আশরাফ মালিথা উল্লেখযোগ্য। তবে ঘটনার তিন দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বিকেলে নিহতের স্বজনেরা থানায় এসে মামলাটি করেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার এজাহার ছাড়াও সম্ভাব্য সব বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি তসলিম হাসান বলেন, ‘ঘটনার কারণ যা–ই হোক, এটা পরিকল্পিত হত্যা। দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটাই আমাদের দাবি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক বলেন, নিহত সায়দার আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। এমন হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ প্রশাসন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত ও আসামিদের গ্রেপ্তার করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হত্যাকাণ্ডের দিন সায়দার রহমানের স্ত্রী দিলরুবা জাহান বলেছিলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা ও সায়দার রহমান মালিথা পরস্পর আত্মীয়। পারিবারিক জমি নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ আছে। এর জেরে কয়েক দিন ধরে সায়দারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এর আগে তাঁদের মধ্যে কয়েক দফা মারধরের ঘটনা ঘটেছে। দিলরুবার দাবি, তাঁর স্বামীর সঙ্গে অন্য কারও বিরোধ নেই। জমির বিরোধে তাঁর স্বামীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসেছিলেন সায়দার রহমান। তখন তিনটি মোটরসাইকেলে দুর্বৃত্তরা এসে তাঁকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।