হেলিকপ্টারে নববধূ নিতে এলেন বর

হেলিকপ্টারে এসে বিয়ে করে নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন বর। শুক্রবার দুপুরে দেবীগঞ্জ পাবলিক ক্লাব মাঠে
ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় হেলিকপ্টারে এসে বিয়ে করে নববধূকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গেছেন এক বর। শুক্রবার দুপুরে বরযাত্রীসহ হেলিকপ্টারটি দেবীগঞ্জ থানা–সংলগ্ন দেবীগঞ্জ পাবলিক ক্লাব মাঠে নামে। এ সময় হেলিকপ্টার ও বর দেখতে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে আবার বিকেল চারটার দিকে হেলিকপ্টারটি দেবীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

কনে নাফিসা বিনতে নেওয়াজ দেবীগঞ্জ পৌর শহরের বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা দেবীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ব্যবসায়ী নূর নেওয়াজের মেয়ে। তিনি দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজে পৌরনীতি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্রী। আর বর নওরোজ ফারহান ঢাকার মহাখালী এলাকার হেলাল আহমেদের একমাত্র ছেলে। তিনি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার এবং ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা।

কনের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ঢাকায় পারিবারিকভাবে নাফিসা বিনতে নেওয়াজের সঙ্গে নওরোজ ফারহানের বিয়ের নিবন্ধন হয়। শুক্রবার ছিল কনে বিদায়ের দিন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি হেলিকপ্টারে করে কয়েকজন বরযাত্রী দেবীগঞ্জ পাবলিক ক্লাব মাঠে নামেন। আরও বরযাত্রী শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাসে করে ঢাকা থেকে দেবীগঞ্জে আসেন। কেউ কেউ আবার উড়োজাহাজে করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে এসে মাইক্রোবাসে করে কনের বাড়িতে আসেন।

দেবীগঞ্জ পৌরসভার বাসিন্দা মো. নয়ন রহমান বলেন, ‘দেবীগঞ্জে এই প্রথম আমরা হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে বর আসতে দেখলাম। এ জন্য আশপাশের লোকজন খবর পেয়ে দেখতে এসেছে। কাছ থেকে হেলিকপ্টারে বিয়ে দেখে আমারও খুবই ভালো লেগেছে।’

কনের বাবা নূর নেওয়াজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ের আগেই বিয়ে দিয়েছি। ছোট মেয়ে নাফিসার গত মাসে বিয়ের কাবিন হয়েছিল। আজ মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেওয়া হলো। বরপক্ষ হেলিকপ্টার নিয়ে কনে নিতে এসেছিল। দেবীগঞ্জে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে আসা এটাই প্রথম ঘটনা হওয়ায় মানুষের বেশ ভিড় ছিল।’

দেবীগঞ্জ থানার ওসি জামাল হোসেন বলেন, হেলিকপ্টারে করে বরযাত্রী আসার বিষয়টি কনের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে তাঁদের আগেই জানানো হয়েছিল। তাই কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে পুলিশ উপস্থিত ছিল।