উজ্জ্বল কুমার দত্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গতকাল বেলা দেড়টার দিকে সুমিতা দত্ত তাঁকে (উজ্জ্বলকে) মুঠোফোনে জানান, রহিত খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সে কথা বলছে না। তিনি (সুমিতা) রহিতকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছেন। পরে তিনি (উজ্জ্বল) শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখেন রহিত জরুরি বিভাগের শয্যায় শোয়া। তাঁর সামনেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানালেন রহিত মারা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপাল দত্ত তিন বছর আগে মারা যাওয়ার পর স্থানীয় নকিপুর গ্রামের কলেজশিক্ষক মনোরঞ্জন মণ্ডলের বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন সুমিতা দত্ত। এ সময় তিনি কয়েকজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এসব কারণে প্রায় রহিতকে মারধর করেন সুমিতা। রহিতের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে উজ্জ্বল কুমার দত্ত বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ রহিতের মা অভিযুক্ত সুমিতা দত্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে সুমিতা দত্ত জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে নিজ সন্তান হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, ভাড়া বাসার নর্দমার থেকে পুলিশ ম্যাংগো জুসের দুটি বোতল ও বিষের একটি প্যাকেট উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় সুমিতা গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, উজ্জ্বল দত্ত মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে রহিতের মা সুমিতা দত্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, তাঁর ছেলেকে তিনি জুসের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যা করেছেন। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জুসের বোতল ও বিষের প্যাকেটও উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন করার পর আজ শনিবার লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার সুমিতাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।