অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন

বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন আয়োজিত মাসব্যাপী লোককারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপি সব সময় অসুস্থ রাজনীতি করে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব হাসপাতালে যান, মির্জা আব্বাস এখনো হাসপাতালে। এই অসুস্থতার মধ্যে কী অসুস্থ রাজনীতি করছেন। অসুস্থ রাজনীতি করতে করতে ফখরুল সাহেবরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’

আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচির দিন ক্ষমতাসীন দলেরও বিভিন্ন পাল্টা কর্মসূচি দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি করছি না। আমরা শান্তির সমাবেশ করছি। তারা উসকানি দিচ্ছে সহিংসতার, তারা উসকানি দিচ্ছে সংঘাতের, তারা উসকানি দিচ্ছে ভাঙচুরের এবং পুলিশের ওপর হামলা নিত্যদিন করতে চায়। তারা যদি এ কাজ করে তাদের উপযুক্ত জবাব, সমুচিত জবাব আমাদের দিতেই হবে। এখানে পাল্টাপাল্টি কোনো বিষয় নয়। তারা উন্মুক্ত রাজপথ পেয়ে যা খুশি তা-ই করবে, তা করতে দেওয়া হবে না।’

বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা নিজেরা তো কিছু করেনি, শেখ হাসিনা যা করেছে, তাতে তাদের অন্তর্জ্বালার সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে তারা রাতের অন্ধকারে কাঁচপুর ও নরসিংদীতে উদ্বোধনী ফলক ভেঙে ফেলছে। তারা তো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে চায় না। তারা ক্ষমতায় থাকতে সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে দে মা লুটেপুটে খাই। ওই খাই খাই ভাব, ইলেকশন হলে তো শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। তারা জানে ভোটে হেরে যাবে, সে জন্য তারা রেগে আছে।’

দেশে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের দেশে আবারও সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদের আস্তানা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তারা (বিএনপি) এ দেশে জঙ্গিবাদের সূচনা করেছে, তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও ওদের হিংস্র থাবা দৃশ্যমান। এখানে রাজনীতির পাশাপাশি সহিংসতা, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা আমাদের চিরশত্রু। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবুল মনসুর, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, সোনারগাঁ উপজেলার চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম প্রমুখ।

শিল্পী হাশেম খান বলেন, লোক ও কারুশিল্পী যাতে হারিয়ে না যান, সেই সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক এস এম রেজাউল করিম বলেন, এ মেলার মাধ্যমে সারা দেশে হারিয়ে যাওয়া কারুশিল্প প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। দুস্থ কারুশিল্পদের পুনর্বাসন করা হয়। ১৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ই-টিকিটিং চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাসব্যাপী লোকজ মেলায় ১০০টি স্টলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কারুশিল্পীরা তাঁদের তৈরি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।