ফুটবল খেলার শেষে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে তিন স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে তিন স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নদের তীরে উৎসুক জনতার ভীড়। আজ রোববার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

জামালপুর শহরের ছনকান্দা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসলে নেমে তিন স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন মামাতো-ফুফাতো ভাই। আজ রোববার সন্ধ্যার দিকে তাদের তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া তিনজন হলো মো. এজাজ মিয়ার ছেলে মো. রাহী আহাম্মেদ, হামিদুর রহমানের ছেলে আফিফ আহাম্মেদ ও হাফিজুর রহমানের ছেলে মো. রুশান। তাদের মধ্যে রাহী ও আফিফ জামালপুর জিলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর মো. রুশান ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে রাহী ও আফিফের বাড়ি জামালপুর শহরের ছনকান্দা এলাকায়। আর মো. রুশানের বাড়ি মাদারগঞ্জ উপজেলায়। পরিবারের সঙ্গে সে ঢাকার মোহাম্মপুর এলাকায় থাকে। আফিফ ও রুশান মামাতো-ফুফাতো ভাই।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোশান ঢাকায় লেখাপড়া করে। সম্প্রতি সে মামা হামিদুল রহমানের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আজ বিকেলে তারা তিনজন এলাকার অন্য ছেলেদের সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ফুটবল খেলতে যায়। ফুটবল খেলার শেষে তারা তিনজনসহ অন্যরা নদে গোসল করতে নামে। পানিতে নেমেও তারা হাত দিয়ে ফুটবল খেলছিল। এ সময় তারা তিনজন পানিতে তলিয়ে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন প্রথমে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের খোঁজ না পাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাদের তিনজনের লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, নদের মধ্যে এখন তেমন একটা পানি নেই। কিন্তু তারা যে অংশে নেমেছিল, সেখানে খননযন্ত্র (ড্রেজার) দিয়ে বালু তোলা হয়। ফলে সেখানে অনেক পানি ছিল। বিষয়টি হয়তো তারা বুঝতে পারেনি। কম পানিতে খেলতে খেলতে, কোনো এক সময় তারা গভীর পানিতে চলে যায়। পরে তারা পানিতে তলিয়ে যায়।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ফয়সল মো. আতিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তারা তিনজনেই সাঁতার জানত না। মাঠে ফুটবল খেলার পর নদের পানিতে নেমেও হাত দিয়ে ফুটবল খেলছিল। এ সময় তারা পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারপরও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হলে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।’