ময়মনসিংহে মুরগি খুঁজতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যাওয়া নারীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে প্রতিবেশীর বাড়িতে মুরগি খুঁজতে গিয়ে মোছা. রৌশনারা বেগম (৫০) নামের এক নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। দা দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খৈরাটি গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত ওই নারী গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের স্ত্রী।
নিহত নারীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রৌশনারার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মোস্তুফা মিয়ার পরিবারের পূর্ববিরোধ ছিল। এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় রৌশনারা বেগমের একটি মুরগি মোস্তুফাদের বাড়িতে যায়। এরপর মুরগি খুঁজতে সেখানে গেলে মোস্তুফা ও তাঁর মা সালেমা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোস্তুফার ছোট ছেলে সাখাওয়াত হোসেন দা হাতে দৌড়ে এসে রৌশনারা বেগমের ঘাড়ে কোপ দেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দিয়েই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রৌশনারা বেগম। স্থানীয় ব্যক্তিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নারীর পুত্রবধূ হাফসা আক্তার বলেন, সন্ধ্যা হয়ে গেলে একটি মুরগি ঘরে না আসায় তাঁর শাশুড়ি এদিক–সেদিক খুঁজছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী এক চাচি এসে জানান, মোস্তুফাদের ঘরের পেছনে কলাগাছের পাশে মুরগি বসে আছে। এরপর রৌশনারা মুরগি আনতে গেলে মোস্তুফার ছেলে সাখাওয়াত দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। তিনি এই হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার হারুয়া ও শিমুলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেন (২১), তাঁর বাবা মোস্তুফা মিয়া (৪৮) ও বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে (২৪) আটক করে। আটকের তথ্য নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা বঁটি ও লাঠি আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।