উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় এ বছর চট্টগ্রামে পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন ফলাফল। এবার চট্টগ্রামে মোট ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। আর এর মধ্যে পাঁচটি কলেজে একজন শিক্ষার্থীও পরীক্ষায় কৃতকার্য হননি। আবার এ পাঁচটি কলেজে পরীক্ষার্থী ছিলেন মাত্র ৯ জন।
এবার জিপিএ–৫ কমেছে প্রায় চার হাজার। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশ হওয়া ফলাফল অনুযায়ী, জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭ জন। গতবারের তুলনায় পাসের হার ও জিপিএ–৫ দুটিই কমেছে। গতবার জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন ১০ হাজার ২৬৯ জন। এদিকে গত বছর পাসের হার ছিল ৭০ দশমিক ৩২। সে হিসাবে পাসের হার কমেছে প্রায় ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ইংরেজিতে পাস করতে পারেননি। এ বিষয়ে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৭৬।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীন চট্টগ্রাম ছাড়া কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। সব মিলিয়ে এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ২ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৫৬০ জন। ছাত্রদের পাসের হার ৪৮ দশমিক ৯৫ এবং ছাত্রীদের পাসের হার ৫৫ দশমিক ৪৯। বিভাগ হিসেবে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৫, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫৫ দশমিক ৩০ ও মানবিক বিভাগে ৩৭ দশমিক শূন্য ৮।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের মেরন সান কলেজ, সরাইপাড়া সিটি করপোরেশন কলেজ, মেরিট বাংলাদেশ কলেজ, চট্টগ্রাম জিলা কলেজ ও চকরিয়ার চকরিয়া কমার্স কলেজ—এ পাঁচটি কলেজে পাসের হার শূন্য। এর মধ্যে সরাইপাড়া কলেজে পরীক্ষার্থী ৩ জন। মেরন সান কলেজ ও চট্টগ্রাম জিলা কলেজে পরীক্ষার্থী দুজন করে এবং মেরিট বাংলাদেশ কলেজ ও চট্টগ্রাম জিলা কলেজে পরীক্ষার্থী মাত্র একজন করে।
এ ছাড়া শতভাগ পাস করেছে, এমন প্রতিষ্ঠান আটটি। নগরের ক্যামব্রিয়ান কলেজ, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নেভি অ্যাঙ্কোরেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ চট্টগ্রাম—এই তিন প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। শতভাগ পাসের হারের তালিকায় রয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলার ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, বাড়বকুণ্ড উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, আনোয়ারা উপজেলার কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাঙামাটি জেলার বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কাপ্তাই ও বান্দরবানের লামা উপজেলার কোয়ান্টাম কসমো কলেজ।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছরওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই জেলার পাঁচটি কলেজ থেকে মাত্র ৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। সেখানে ফলাফলে দেখা গেল, কেউ পাস করেনি। আমরা কলেজগুলোর কাছে এ বিষয়ে কৈফিয়ত চাইব।’