মাসুদ মিয়া গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া এলাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর মেয়ে সুইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকার মিরপুরে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন সুইটি।

দুর্ঘটনায় আহত মাসুদ মিয়া শিবচরের পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেয়েকে হারিয়ে এখন তিনি বাক্‌রুদ্ধ। তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই ছিল তাঁর মেয়ের একমাত্র স্বপ্ন।
আদরের মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহাজারি করছেন মাসুদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘মাইয়াডারে ঢাকায় পৌঁছে দিতে ওর লগে গেছিলাম। কিন্তু ঢাকায় আর পৌঁছানো হইল না। আমার আদরের মাইডা আমারে ছাইড়া না–ফেরার দেশে চইলা গেল। আমি মরে গিয়ে যদি মেয়েটা বেঁচে থাকত!’

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনের নাম–পরিচয় পাওয়া গেছে। বেলা ৩টার মধ্যে ১৬ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। একটি লাশের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অপর দুটি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।