বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েকে হারিয়ে বাবার আহাজারি

সুইটির বাবা মাসুদ মিয়া আহত হয়ে শিবচরের পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়তেন সুইটি। কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া এলাকায় গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। আজ রোববার সকালে বাবা মো. মাসুদ মিয়ার সঙ্গে বাসে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। গোপালগঞ্জ থেকে তাঁরা উঠেছিলেন ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে। দুর্ঘটনায় বাবা মাসুদ মিয়া বেঁচে গেলেও প্রাণ হারিয়েছেন সুইটি।

আজ (১৯ মার্চ রোববার) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত দুজন মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেলে আরও ১০ জন চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ২৫ জন। তাঁরা শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।  

আরও পড়ুন

মাসুদ মিয়া গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া এলাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। তাঁর মেয়ে সুইটি ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঢাকার মিরপুরে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন সুইটি।

দুর্ঘটনায় আহত মাসুদ মিয়া শিবচরের পাচ্চর ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মেয়েকে হারিয়ে এখন তিনি বাক্‌রুদ্ধ।

আদরের মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহাজারি করছেন মাসুদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘মাইয়াডারে ঢাকায় পৌঁছে দিতে ওর লগে গেছিলাম। কিন্তু ঢাকায় আর পৌঁছানো হইল না। আমার আদরের মাইডা আমারে ছাইড়া না–ফেরার দেশে চইলা গেল। আমি মরে গিয়ে যদি মেয়েটা বেঁচে থাকত!’

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জনের নাম–পরিচয় পাওয়া গেছে। বেলা ৩টার মধ্যে ১৬ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। একটি লাশের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। অপর দুটি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সংশোধনী: গত ২৬ মার্চ ২০২৩ বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে সংবাদটিতে প্রকাশিত তথ্য সঠিক নয়। প্রথম আলো বিষয়টি পর্যালোচনা করে এর সত্যতা পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদটি ২৮ মে ২০২৩ তারিখে সংশোধন করা হলো।