ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তে আটক মোহাম্মদ ফরিদ মানিকছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় ফেনীর সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক সহযোগীকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সদস্যরা তাঁকে আটক করেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁকে আখাউড়া থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আটক ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ ফরিদ মানিক ওরফে পিএস মানিক। তিনি ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ (ফেনী সদর উপজেলা) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) হিসেবে ফেনীতে পরিচিত। নিজাম উদ্দিনের হয়ে ফরিদ মানিক নানা অপকর্ম করে এলাকায় আলোচিত হন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে পৌঁছান মোহাম্মদ ফরিদ মানিক। কাস্টমস ও বিজিবির প্রক্রিয়া সেরে তিনি আখাউড়া-আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার জন্য আখাউড়ায় যান তিনি।দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাঁকে আটক করে। দিনভর ইমিগ্রেশন ইনচার্জের কক্ষে বসিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তাঁর বিষয়ে অবগত করেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। একপর্যায়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাঁকে আটক করে। সন্ধ্যায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আখাউড়া থানা–পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়।

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. খাইরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদ ফরিদ মানিক ওরফে পিএস মানিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে আগরতলা পালিয়ে যাওয়ার জন্য আখাউড়া সীমান্তে পৌঁছান। তাঁর ভ্রমণ ভিসা রয়েছে। কিন্তু দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁকে আগরতলায় যেতে দেওয়া হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাঁকে আটক দেখিয়ে আখাউড়া থানা–পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আরও পড়ুন

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ৪ আগস্ট বেলা দুইটার দিকে ফেনীতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্যের পিএস হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ ফরিদ মানিক জড়িত ছিলেন।

ফেনীর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, মোহাম্মদ ফরিদ মানিকের বিরুদ্ধে এখনো থানায় কোনো মামলা হয়নি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।