গাছে বেঁধে নির্যাতনের ছবি ফেসবুকে, উদ্ধার করল পুলিশ

রিকশাচালককে গাছে বেঁধে রাখার ছবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর সদর উপজেলায় পাওনা টাকার জন্য গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের তুলসীবাড়ি গ্রামে নির্যাতনের ঘটনার পর রাতে থানায় মামলা করেন ওই রিকশাচালক।

ভুক্তভোগী রিকশাচালকের নাম কামাল শেখ। তিনি একই ইউনিয়নের কাঁচাসড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁকে মারধরের অভিযোগে তুলসীবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাস তিনেক আগে রিকশাচালক কামাল শেখ তুলসীবাড়ি গ্রামের হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা তিনি ফেরত দিতে পারেননি। এ জন্য গতকাল বিকেলে হাফিজুর ও তাঁর চাচাতো ভাই কামাল হোসেন ওই রিকশাচালককে ডেকে আনেন। পরে তাঁরা কামাল শেখকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। গাছে বেঁধে রাখার একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ ওই রিকশাচালককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কামাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে রিকশাচালক কামাল শেখ বাদী হয়ে হাফিজুর, কামাল হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

কামাল শেখের চাচাতো ভাই মো. ময়নাল হক প্রথম আলোকে বলেন, অভাবে পড়ে ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন কামাল। রিকশা চালানোর আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন তিনি। সে জন্য ধারের টাকাটা শোধ করতে পারছিলেন না। টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তাঁকে ধরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। বাঁশের লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, খবর পেয়ে হাফিজুরের বাড়ি থেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা অবস্থায় ওই রিকশাচালককে উদ্ধার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।