চিনি-চুন দিয়ে খেজুরের গুড় বানিয়ে জরিমানা গুনলেন ব্যবসায়ী

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে চিনি ও ‍চুন দিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় বানানো কারখানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ধানধারা গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় চিনি ও চুন দিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করার দায়ে একটি কারখানার মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ধানধারা গ্রামে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ভেজাল খেজুরের গুড় জব্দ করেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি ধানধারা গ্রামে মৌসুমি গুড়ের ব্যবসায়ী মশগুল হোসেন তাঁর বাড়িতে একটি কারখানা তৈরি করে সামান্য খেজুরের রসের সঙ্গে চিনি ও চুন মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছিলেন। স্থানীয় মানুষের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফ। আজ সকাল ছয়টার দিকে ধানধারা গ্রামের ওই কারখানায় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান। তাঁরা কারখানায় চিনি ও চুন দিয়ে ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি করতে দেখেন। এ সময় ৫০ কেজি ভেজাল খেজুরের গুড় ও গুড় তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। একই সঙ্গে ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে কারখানার মালিক মশগুল হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিবালয়ের পাশের হরিরামপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ও বাল্লা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামেও ভেজাল খেজুরের গুড় তৈরি হচ্ছে। খেজুরের রস ছাড়াই ঝোলাগুড়, চুন, রং ও চিনি দিয়ে এসব গুড় বানানো হচ্ছে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব গুড় কম দামে বিক্রি হওয়ায় গরিব মানুষ এগুলো কিনে খাচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, শীত এলেই একশ্রেণির মৌসুমি ব্যবসায়ী ভেজাল খেজুরের গুড় বানিয়ে বাজারজাত করেন। গত তিন বছরে হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভেজাল গুড় জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া কারখানার মালিকদের জরিমানাও করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।