‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বেশে নারীবিদ্বেষী কাণ্ড, সাভার থেকে যুবক আটক

ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এক যুবক নারীবিদ্বেষী নানা কর্মকাণ্ড করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর উত্ত্যক্ত করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ওই যুবকের নাম খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খান।

নারীদের প্রতি অশালীন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে খালিদ মাহমুদকে আটক করেছে সাভার থানার পুলিশ। আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে সাভারের আমিনবাজার থেকে তাঁকে আটক করা হয় বলে ঢাকা জেলা পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর সূত্র ধরে খালিদের আইডিতে থাকা বিভিন্ন ভিডিও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিনি বিভিন্ন সময় মেয়েশিশু, কিশোরী ও নারীদের পথ আটকে নানা আপত্তিকর কথা বলেছেন। কী ধরনের পোশাক পরা উচিত, সে কথা বলেছেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ওই যুবককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে। জেইউ ইনসাইডার নামে একটি ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, এই যুবকের নাম খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খান। থাকেন সাভারে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্কুল–কলেজের মেয়েদের টিজ করেন, হেনস্তা করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

রাজু নুরুল নামের এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই যুবকের একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, খালিদের ভিডিও আগেও চোখে পড়েছিল, ভেবেছিলেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে তিনি তা নন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি স্কুল–কলেজের মেয়েদের টিজ করেন, হেনস্তা করেন। ধর্ষণের শিকার হওয়ার ভয় দেখান।

এ বিষয়ে সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহীনুর কবীর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নারীদের উত্ত্যক্ত করা এবং নারীদের প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির চেষ্টার অপরাধে খালিদ মাহমুদ ওরফে হৃদয় খানকে আটক করা হয়েছে। আমিনবাজারের মধ্যপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তিনি টিকটক করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে নারীদের হেয়প্রতিপন্ন করেছেন।এসবের মাধ্যমে তিনি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেন, সমাজে ধর্ষণের জন্য মেয়েরাই দায়ী। খালিদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।