টাঙ্গাইলে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিশু ও দুই নারীর

ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভূঞাপুর-তারাকান্দি রেললাইনের ড্যাপাকান্দি এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় দুই নারী ও এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতু-তারাকান্দি রেলপথের ড্যাপাকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশার আরও পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ভূঞাপুরের আগতেরিল্যা গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী লাবনী (৩০) ও একই গ্রামের সনজব আলীর পাঁচ মাস বয়সী মেয়ে জান্নাতি। নিহত আরেক নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁর আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। এ ছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন আগতেরিল্যা গ্রামের তুলা মিয়ার ছেলে মো. হুমায়ুন (৩৫), সনজব আলীর স্ত্রী সালেহা বেগম (৪০) ও মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (৫০)। আহত অন্য দুজনের মধ্যে একজন নারী ও তিন বছরের শিশু আছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আবদুল কাদের বলেন, আজ বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে একটি লোকাল ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর ১২টার দিকে ট্রেনটি ভূঞাপুর উপজেলার ড্যাপাকান্দি এলাকায় পৌঁছালে একটি অটোরিকশা রেললাইনের ওপর উঠে যায়। এ সময় ট্রেনটি অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

আগতেরিল্যা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁদের গ্রাম থেকে সাতজন যাত্রী নিয়ে অটোরিকশাটি ভূঞাপুর উপজেলা সদরের দিকে যাচ্ছিল। রেলক্রসিংয়ে ওঠার পরই এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন এসে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে রেলওয়ে পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে হুমায়ুন নামের একজনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়।