ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির নেতা গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানচিত্র

২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের কালীবাড়ি মোড়ের নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসাইন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি শহরের হালদারপাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সে সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

ওই মামলায় গত বছরের শেষের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালত সিরাজুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর ভিত্তিতে সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টির বেশি মামলা রয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. আরিফ বলেন, রাজনৈতিক একটি মামলায় হাজিরা দিতে বাড়ি থেকে বের হন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম। পরে শহরের কাউতলী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাড়ির সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

দলের নেতা-কর্মীরা বলেন, গত ১০ আগস্ট জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্যের আংশিক আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি আবদুল মান্নানকে আহ্বায়ক এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। তাঁরা দুজনই আগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান বলেন, একটি মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করেছে। হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তা পুলিশ পারবে না। বিএনপির আন্দোলন থামানোর জন্য এবং চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের ওপর ভর করেই এই সরকার টিকে আছে।