প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দর জেটিতে ৮ মিটার গভীরতার জাহাজ

মোংলা বন্দর জেটিতে নোঙর করা আট মিটার গভীরতার জাহাজ ‘এম সি সি টোকিও’
ছবি: প্রথম আলো

বাগেরহাটের মোংলা সমুদ্রবন্দরের জেটিতে প্রথমবারের মতো আট মিটার গভীরতার বাণিজ্যিক জাহাজ ভিড়েছে। আজ সোমবার দুপুরে পানামার পতাকাবাহী ‘এম সি সি টোকিও’ নামের জাহাজটি বন্দরের ৫ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।

জাহাজটিতে ৩৭৭টি কনটেইনার আছে। এটাই বন্দর জেটিতে আসা প্রথম আট মিটার গভীরতার জাহাজ বলে নিশ্চিত করেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ তরফদার।

কমোডর মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ তরফদার প্রথম আলোকে বলেন, কনটেইনার নিয়ে প্রথমবারের মতো আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ বন্দর জেটিতে ভিড়েছে। পশুর চ্যানেল খননের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জাহাজের মালামাল খালাস করা হবে। খালাস শেষে আবার পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি গন্তব্যে ফিরে যাবে। তিনি বলেন, এটি একটি ট্রায়াল কার্যক্রম ছিল। এতে সফল হলে নিয়মিত মোংলা বন্দর জেটিতে আট মিটারের বেশি গভীরতার জাহাজ ঢুকতে পারবে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, পশুর চ্যানেলের নাব্যতা কম থাকায় সাত বা সাড়ে সাত মিটারের বেশি গভীরতার জাহাজ মোংলা বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারত না। এ জন্য আট, সাড়ে আট কিংবা নয় মিটার গভীরতার পণ্যবাহী জাহাজ পশুর নদের মধ্যে নোঙর করা হতো। সেখান থেকে মালামাল খালাস করে বন্দরে আনা হতো। বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নদের খননকাজ করে বন্দর কর্তৃপক্ষে। নদ ড্রেজিংয়ের ফলে এখন মোংলা বন্দরে আট মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়তে পারছে।

বন্দর ব্যবহারকারী এস এম মোস্তাক মিঠু প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতুর সুফলে মোংলা বন্দরের কর্মচাঞ্চল্য বেড়েছে। জেটি এলাকায় ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বন্দরে জাহাজের আগমন বাড়বে। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন।