নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে ভ্যানচালক আকরাম দেখলেন সব পুড়ে ছাই

আগুনে পুরে যাওয়া অটোরিকশাচালক আকরাম হোসেনের বাড়ি। সোমবার সকালে রাজশাহী বাগমারার খাঁপুর গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

ঈদের নামাজ শেষে ফিরে দেখলেন, গোটা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের খাবারের আয়োজনও সব শেষ হয়েছে। আজ সোমবার ঈদের দিনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারার দ্বীপপুর ইউনিয়নের খাঁপুর গ্রামের এক ভ্যানচালকের বাড়িতে। ওই ভ্যানচালকের নাম আকরাম হোসেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আকরাম হোসেন স্ত্রীসহ গ্রামের একটি ঈদগাহে যান। সেখানে নারী–পুরুষ একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে বাড়িতে আসার সময় পথিমধ্যে লোকজনের চিৎকার শুনতে পান। পরে দৌড়ে এসে দেখতে পান নিজের বাড়িতে আগুন জ্বলছে। খবর পেয়ে ঈদগাহ থেকেও মুসল্লিরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন এবং চেষ্টা করেন।

খবর দেওয়া হলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। এ ছাড়া ঈদগাহের মুসল্লিরাও আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেছেন। ততক্ষণে বাড়ির মালামালসহ গোটা বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে পাশাপাশি থাকা আর কোনো বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি।

প্রতিবেশী রায়হান কবির জানান, বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে ১০-১২ বছরের এক শিশু চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে কিছু লোক ছুটে আসেন। তবে ওই সময়ে এলাকার অধিকাংশ লোকজন ঈদের নামাজে থাকায় আগুন নেভাতে তাঁরা তাৎক্ষণিক আসতে পারেননি। যখন এসেছেন, ততক্ষণে সব শেষ। বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, আকরাম হোসেন পেশায় ভ্যানচালক। মাঝেমধ্যে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালান। তবে বেশ কিছুদিন ধরে বাড়িতে থেকে অটোভ্যান চালাচ্ছিলেন। আকরাম হোসেনেরও দাবি, বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ঈদের বাজারসহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাঁর। এখন পথে বসেছেন। দুই কক্ষের বাড়ির দেয়াল ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।

বাগমারা ফায়ার স্টেশনের লিডার ইব্রাহিম হোসেন বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সব পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। মাটির তৈরি বাড়ির সব কিছু পুড়ে গেছে। দেয়াল ছাড়া অবশিষ্ট কিছু নেই। বৈদ্যুতিক মিটার থেকে শর্টসার্কিট হয়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।