৬ দশক পর বিদ্যুৎ পেল রাঙামাটির ১৩টি গ্রামের মানুষ

বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন
ফাইল ছবি

দীর্ঘ ছয় দশক পর রাঙামাটির সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার এসব গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। পার্বত্য রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার মোরঘোনা স্মৃতি মন্দির এলাকা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের উদ্বোধন করেন। দীর্ঘদিন পর বিদ্যুৎ পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এই এলাকার মানুষ।

গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাঙামাটি শহর আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের মোরঘোনার বনভান্তের স্মৃতি মন্দিরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক উজ্জ্বল বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী মানিক চাকমা ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুর্গেশ্বর চাকমা প্রমুখ।

নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিলাইছড়ি পাড়া, মগবান, বনভান্তের স্মৃতি মন্দির এলাকা, মোরঘোনা, বড়াদম, জীবতলী ও কামিলাছড়ি। এসব গ্রামে ছয় হাজারের বেশি মানুষ বাস করেন।

কয়েক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের কারণে উদ্বাস্তু হয়ে ওই ১৩টি গ্রাম প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব উদ্বাস্তু পরিবারের জন্য কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। তবে দীর্ঘ ৬২ বছর অপেক্ষার পর বিদ্যুৎ পেয়ে তাঁরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

বড়াদম সুরবালা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক অরুন কান্তি চাকমা বলেন, ‘দীর্ঘ ৬২ বছর পর আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলো। আপাতত মোরঘোনা, বড়াদম ও আশপাশের এলাকাগুলো বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। অন্য গ্রামগুলোতে তার-খুঁটির সংযোগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় অনেকেই এখনো মিটার কিংবা বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেননি। সে জন্য ওইসব গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে বাড়িতে সংযোগের জন্য আবেদন করলেই সংযোগ চালু করা হবে বলে শুনেছি।’

রাঙামাটি বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তিন পার্বত্য জেলার বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রাঙামাটি সদরে উপজেলা মগবান ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের শেষে দিকে। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।