ফরিদপুরে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে নছিমনচালক নিহত, যাত্রী আহত

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি রেলক্রসিং। এখানে আজ বুধবার সকালে ট্রেনের সঙ্গে নসিমনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ট্রেনের সঙ্গে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত অবৈধ যান নছিমনের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নছিমনের চালক নিহত ও এক যাত্রী আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া নছিমনচালকের নাম সুজন মিয়া (২৪)। তিনি বোয়ালমারী পৌরসভার গুনবহা গ্রামের মনজু মিয়ার ছেলে। তিনি বিবাহিত ও সায়মা (৩) নামে তাঁর একটি মেয়ে আছে।

এ ঘটনায় আহত ব্যক্তির নাম রিফাত (২০)। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা–পুলিশের দায়িত্বে থাকা এসআই আবদুল করিম এ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ফরিদপুরের বোয়ালমারি উপজেলার মুন্সিবাড়ি রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া নছিমন
ছবি: প্রথম আলো

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন রাজমিস্ত্রি বোয়ালমারী থেকে সিমেন্টের বস্তা নিয়ে সুজন মিয়ার নছিমনে পাশের তেলজুড়ি গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে চতুল মুন্সিবাড়ি রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় টুঙ্গিপাড়া থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের সঙ্গে নছিমনের সংঘর্ষ হয়। এতে সুজন ও রিফাত আহত হন এবং নছিমনটি দুমড়েমুচড়ে যায়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকেরা সুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে সহস্রাইল বাজার এলাকায় পৌঁছালে সুজন মারা যান।

বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত সুজন নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শুনেছি তিনি পথেই মারা গেছেন।’

রাজবাড়ী রেলওয়ে থানা–পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল করিম জানান, এ ঘটনায় রাজবাড়ী রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হওয়ারে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে ৭ জানুয়ারি দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা এলাকায় রাজবাড়ী-ভাঙ্গা রেলপথের মুন্সিবাজার ক্রসিংয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হন। পরে এ দুর্ঘটনায় আহত আরও একজন ১১ জানুয়ারি মারা যান। মুন্সিবাজারের মতো মুন্সিবাড়ি রেলক্রসিংটিও অরক্ষিত। এই দুই রেলক্রসিংয়ে কোনো গেট ও গেটম্যান নেই।