সেচপাম্পের ঘরে পড়ে ছিল যুবকের লাশ
ফসলি জমির মাঝখানে একটি ঘরে বসানো হয়েছে সেচপাম্প। সেই ঘরে পড়ে ছিল এক যুবকের লাশ। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। যদিও পরিবারের দাবি, ওই যুবককে পরিকল্পিতভাবে কেউ হত্যা করেছে।
গতকাল রোববার রাতে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়ন থেকে লাশটি উদ্ধার হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি একই ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল আবছারের ছেলে। নিহত আলমগীর লবণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সেচপাম্পটির মালিক নজির আহমদ স্থানীয় বাসিন্দা। রাতে নজির আহমদ ঘরটিতে গিয়ে দেখেন, ভেতরে আলমগীরের লাশ পড়ে রয়েছে। এরপর তিনি গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে নিহত ব্যক্তির পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, গতকাল সকালেও স্থানীয় লবণমাঠে কাজ করেছেন আলমগীর। তাঁকে কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে, এটি হত্যাকাণ্ড কি না।