চুয়াডাঙ্গায় দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গা সদরে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কের যুব উন্নয়ন ভবনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নূরনগর কলোনিপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে টুনু হোসেন ওরফে আনন্দ (২২), রিকাত আলীর ছেলে মিঠু হোসেন (৩০) এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার মনোরঞ্জন হালদারের ছেলে মুক্তা হালদার (২৮)। আহত ব্যক্তির নাম রনি বিশ্বাস। তিনি রাজশাহীর বাগমারা থানার মোহনপুর গ্রামের আলাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে।

টুনু ও মিঠুকে মুমূর্ষু অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মুক্তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আলমডাঙ্গা সড়কে মারা যান।

আজ বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরে যুব উন্নয়ন ভবনের কাছাকাছি মোটরসাইকেল দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালের প্রতিনিধি মুক্তা হালদার ও রনি বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গা থেকে মোটরসাইকেলে ঝিনাইদহ অভিমুখে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে বিপরীত দিক থেকে টুনু হোসেন ও মিঠু হোসেন মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গার নূরনগরে যাচ্ছিলেন। বেলা ১টা ১০ মিনিটের দিকে যুব উন্নয়ন ভবনের কাছাকাছি দুটি মোটরসাইকেলর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে থাকা চারজন গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছানোর পরপরই জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাপলা খাতুন টুনু হোসেন ও মিঠু হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। মুক্তা হালদারকে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সে রাজশাহী নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান। রনি বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।