বিএনপির নেতাদের বিচারের ব্যাপারে শুধু আদালতই বলতে পারেন: আইনমন্ত্রী
বিএনপির নেতাদের নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিচার ও জামিনের ব্যাপারে শুধু আদালতই কথা বলতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, বিচার ও জামিনের বিষয়ে আদালত ছাড়া অন্য কেউ কথা বলতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সড়ক বাজারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সাক্ষাৎকারের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী মন্তব্য করেন, আইন আদালতের নির্দেশে চলে না, চলে গণভবনের নির্দেশে। ওই মন্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। উনি (রিজভী) তো, কোথায় বসে বসে বাণী ছাড়েন। ওনার বাণীগুলো সম্পূর্ণ অসত্য, তথ্যভিত্তিক নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে পারি, ওনাদের মতন যখন বিএনপি ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারকে হত্যা করে এই দেশে স্বৈরশাসন চালাচ্ছিল, তখন যে রকম বিচার বিভাগকে করায়ত্ত করেছিল, সেই অবস্থা এখন আর নেই। বিচার বিভাগ স্বাধীন।’
কৃষিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এরই মধ্যে কৃষিমন্ত্রী বলেছেন এটা তাঁর ব্যক্তিগত অভিমত। আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এটা দলের অভিমত নয়। আর আমি একটা কথা বলি, বিএনপির যেসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের নির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিচার ও জামিনের ব্যাপারে শুধু আদালতই কথা বলতে পারেন। আর কেউ না।’
আনিসুল হক আরও বলেন, ‘কসবা-আখাউড়ার জনগণের কাছে আমার চাওয়া হচ্ছে তাঁদের ভালোবাসা। গত ১০ বছর তাঁদের সেবা করেছি এবং তাঁদের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি চাই আমার প্রতি তাঁদের যে ভালোবাসা, সেটা যেন অব্যাহত থাকে। আমি কসবা-আখাউড়ার উন্নয়নের জন্য যা করতে হয়, তা–ই করব। এ জন্য কোনো প্রজেক্ট আমাকে করে দিতে হবে না। যেটাই প্রয়োজন হবে, সেটাই করব।’
এর আগে চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন আইনমন্ত্রী। এ সময় তাঁর সঙ্গে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফাসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। তিনি সড়ক বাজারে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের হাতে হাতে প্রচারপত্র ও রজনীগন্ধা ফুল তুলে দেন।