যাঁরা দেশ নিয়ে ভাবেন, তাঁরা তামাশার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না: জোনায়েদ সাকি

শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে
ছবি: প্রথম আলো

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো দেশপ্রেমী মানুষ; এই দেশের প্রতি যাঁদের ন্যূনতম অঙ্গীকার আছে, যাঁরা দেশ নিয়ে ভাবেন, তাঁরা কেউ এই তামাশার নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার একটি একতরফা নির্বাচন করার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছে। যেকোনো ধরনের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকেই সরকার ঝুঁকি হিসেবে দেখেছে। যেহেতু এবার আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের দিকে মনোযোগ ছিল। তাই তারা, এমন একটা ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চেয়েছে, যাতে কোনো বিরোধী দল নির্বাচনে না আসে।

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ন্যূনতম কোনো আলোচনা এই সময়ে যাতে এড়িয়ে যেতে হয়, সে জন্য তারা ২৮ তারিখ (২৮ অক্টোবর) সমাবেশে পরিকল্পিতভাবে একটা সহিংসতা ছড়িয়েছে। যার দায় বিরোধী দলের দিকে চাপিয়ে ক্র্যাকডাউন করা হয়েছে। সেটার ধারাবাহিকতা এখনো তারা চালিয়ে যাচ্ছে।

সরকার সংলাপ নাকচ করে দিয়ে একটি একতরফা নির্বাচন করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, তারা প্রথম দিকে চেষ্টা করেছিল, নির্বাচনকে একটি প্রতিযোগিতামূলক দেখানোর উদ্যোগ নেবে। বিশেষ করে তাদের জোটের মধ্যে শরিকদের নিয়ে একটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন দেখাবে। কিন্তু তাদের জোট-মিত্ররা কেউ এই সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখেনি। প্রশাসন এই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে তারাও বিশ্বাস রাখেনি। তাই তারা আসন সমঝোতা চাইছে।

গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, আসন সমঝোতার মধ্য দিয়ে একটা সিলেকশন, এটা কোনো নির্বাচন নয়। একটা ভাগ-বাঁটোয়ারা একপক্ষীয় নির্বাচন হবে। নির্বাচনের আগেই জনগণ জেনে গেছে, আবারও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে। ফলে মানুষের ভোট দেওয়ারও কোনো আগ্রহ নেই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করার দাবিতে লড়াই ও সংগ্রাম করছি, কীভাবে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়? জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই, তাদের যার যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জারি রাখুক, কেউ মিছিল করে প্রতিবাদ করুক, কেউ নীরব প্রতিবাদ করুক, নির্বাচনে ভোট দিতে না গিয়ে নির্বাচন বর্জন করে নীরব প্রতিবাদ জারি রাখতে হবে।