টঙ্গীতে বাসের ধাক্কায় ডুয়েটের শিক্ষকসহ নিহত ২

বোনের স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সরণ সাহা। মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লা মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

টঙ্গীতে বাসের ধাক্কায় দুজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের উড়ালপথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ বাসটি আটকাতে পারলেও চালক পালিয়ে গেছেন।

নিহত দুজন হলেন রামকৃষ্ণ সাহা ও মো. দিদারুল আলম। রামকৃষ্ণ সাহা গাজীপুরের শিমুলতলীতে অবস্থিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর বাসা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি সেখানেই থাকতেন। আর দিদারুল মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। তাঁর বাবার নাম আবদুল বাতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকায়। তিনি একটি অ্যাপের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিংয়ে কাজ করতেন।

থানা-পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রামকৃষ্ণ সাহা আজ সকালে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে কর্মস্থল ডুয়েটে যাচ্ছিলেন। তিনি দিদারুল আলমের মোটরসাইকেলে ভাড়ায় যাচ্ছিলেন। তাঁদের মোটরসাইকেলটি উত্তরার সাইদগ্রান্ড সেন্টারের সামনে থেকে বিআরটি প্রকল্পের উড়ালপথ ধরে গাজীপুরের শিমুলতলী যাচ্ছিল। মোটরসাইকেলটি উড়ালপথের চেরাগ আলী এলাকায় পৌঁছাতেই হঠাৎ সামনে থেকে আসা প্রভাতী-বনশ্রী নামের যাত্রীবাহী বাস তাঁদের ধাক্কা দেয়। এতে দুজন গুরুতর আহত হন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রামকৃষ্ণ সাহার শ্যালক সরণ সরকার বলেন, তাঁর দুলাভাই সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। দুপুর ১২টার দিকে খবর পান তিনি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এরপর দ্রুত টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তিনি মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার একটামাত্র বোন। ঘরে একটা ছোট বাচ্চা। সুখের সংসার। কিন্তু একমুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল। আমাদের সব শেষ।’

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তাঁরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনায় আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসক তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত দুজনের মাথা, মুখে আঘাত আছে। তাঁদের মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। বাসটি এরই মধ্যে আটক করা হয়েছে। তবে চালক পলাতক। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।