গাইবান্ধায় বিএনপির ৩৩৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা

পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-যুবদল নেতা–কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধা শহরের পার্ক রোডে
ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় গতকাল শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও লাঠিপেটার ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। আজ শনিবার পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এ মামলা করেন সদর থানার উপপরিদর্শক মো. জাকারিয়া। মামলায় ৩৬ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আসামি আছেন ২৫০ থেকে ৩০০ জন।

শনিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা। তিনি মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা বিএনপি শহরের সার্কুলার রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রা বের করে। এটি শহর প্রদক্ষিণ করে পার্ক রোডে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-যুবদলের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ এবং নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এতে বিএনপি ও যুবদলের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে পুলিশ দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপির দুজন এবং বাস টার্মিনাল থেকে একজন নেতাকে আটক করে। এদিকে গ্রেপ্তারের ভয়ে নেতা-কর্মীরা আতঙ্কে আছেন। অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন গাইবান্ধা সদর থানা বিএনপির সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ শোভাযাত্রা ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়ে এবং নেতা-কর্মীদের লাঠিপেটা করে। এতে বিএনপি ও যুবদলের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। ফলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

তবে ওসি মাসুদ রানার দাবি, বিএনপি নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রা থেকে পার্ক রোডের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর এবং বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। বাধা দিলে উল্টো পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ছয় রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়।

আরও পড়ুন