মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ফুলদী নদীর তীর থেকে ৬১টি স্থাপনা উচ্ছেদ

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ফুলদী নদী দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের রসূলপুর খেয়াঘাট এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ফুলদী নদী দখলমুক্ত করতে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের রসুলপুর খেয়াঘাটে অভিযান চলে। এ সময় রেস্তোরাঁ, পাকা ঘাটলা, দোকানসহ ৬১টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আক্তারের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে গতকাল বুধবার এ নদীর তীরে অভিযান চালিয়ে ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ। সব মিলিয়ে গত দুই দিনে ৮১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলো।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে রসুলপুর এলাকায় ফুলদী নদীর তীর ঘেঁষে দোকানপাট ও স্থাপনা তৈরি করেছিল স্থানীয় লোকজন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। তবে তাতে কর্ণপাত করছিলেন না দখলদারেরা। উল্টো নোটিশের তোয়াক্কা না করে একের পর এক গড়ে তুলছিলেন অবৈধ স্থাপনা। কয়েক দিন আগে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে লাল নিশান দেয়। আবারও উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়া হয় দখলদারদের। কয়েক দিন আগে স্বেচ্ছায় নিজেদের স্থাপনা সরিয়ে নেন। যাঁরা সরিয়ে নেননি, তাঁদেরগুলো গত দুই দিনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা আক্তার বলেন, ফুলদী নদীর লঞ্চঘাটের আশপাশে প্রায় দুই কিলোমিটার অংশজুড়ে অবৈধ স্থাপনা ছিল। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে দুই দিনের অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে নদীতে থাকা অবৈধ ঝোপ, ড্রেজার, দোকানপাট, পাকা ঘাটলাসহ ৬১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এদিন উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক শরিফুল ইসলামসহ গজারিয়া থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।