ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

লাশ
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত খাইরুল ইসলাম বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আলমগীর হোসেনের পক্ষের লোক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছরের অক্টোবরে বাসুদেব ইউনিয়নের মলাই ভূঁইয়ার জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করেন একই গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়ার ছেলে শাহ আলম। এ জন্য মলাই ভূঁইয়ার কাছে ১ হাজার ৯০০ টাকা পাওনা ছিলেন শাহ আলম। অপর দিকে মলাই ভূঁইয়ার দোকান থেকে বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করেন শাহ আলম। এতে শাহ আলমের কাছে ৫০০ টাকা পাওনা ছিলেন মলাই। পরস্পরের এই পাওনা টাকা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি মীমাংসা করতে গতকাল রাতে পোড়াবাড়ি গ্রামে সালিসও হয়। সালিসে ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়া, তাঁর ছেলে শাহ আলম ও তাঁদের পক্ষের লোকজন এবং অপর পক্ষে নেতৃত্ব দেওয়া ইয়াছিন মিয়া, মলাই ভূঁইয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সালিস চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দা, ছুরি, টেঁটা, বল্লম ও লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে গলায় বল্লমের আঘাতে খাইরুলসহ ১০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খাইরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আলমগীর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাওনা টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে গতকাল রাতে সালিস হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন আগে থেকেই দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রেখেছিল। একপর্যায়ে মলাই ভূঁইয়া ও তাঁর পক্ষের ইয়াছিন উত্তেজিত হয়ে পড়ে হামলা চালান। গলায় বল্লমের আঘাতে আমাদের পক্ষের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় ইয়াছিন মিয়া ও মলাই ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।